বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে জাতীয় শ্রমিকলীগ ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন আলীগঞ্জ লেবার হল হতে ট্রাকের র্যালী বের হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া হয়ে নগরীর নীতাইগঞ্জ এলাকা প্রদক্ষিণ করে আলীগঞ্জে এসে শেষ হয়।
উক্ত বিশাল ট্রাকের র্যালী শুরুর প্রাক্কালে আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতিচারণ করে বলেন- আজ ৩১ আগষ্ট, শোকের মাসের শেষ দিন। তাই বলে বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক শেষ হয়ে যায়নি। বরং এই শোক আমাদের মধ্যে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত বহমান থাকবে।
কাউসার আহমাদ পলাশ উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন- ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করেছে। আবারও সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার হটাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের পায়তারা করেছে। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা’র সরকার ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ণ ও অগ্রগতি থেমে যাবে। সুতরাং ষড়যন্ত্রকারীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ৯৬ সালে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাসির রায় কার্যকর করে বাঙালী জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেছেন। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পদ্মা সেতু হয়েছে, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে, বিএনপি আমলে দেশে শতকরা ১২ ভাগ বিদ্যুৎ ছিল। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন। সরকার কৃষিখাতেও দিচ্ছেন ভর্তুকি। শিক্ষাখাত সহ দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোন লাভ হবে না। এদেশের শান্তিকামী মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারকেই আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ্।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাহাত, জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি পিয়াস আহমেদ সোহেল, ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স জেলা কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, জাতীয় শ্রমিকলীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তার, সহ-সভাপতি মোঃ অহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হাওলাদার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জামাল আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক লিটন শিকদার, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাবিব উল্লাহ, শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর মৃধা, শ্রমিকলীগ দাপা ইদ্রাকপুর ইউনিট কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক টিক্কা, ফতুল্লা থানা মজদুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ফতুল্লা থানা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আকন, ফতুল্লা থানা হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ট্রলার বাল্কহেড নৌ-যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মাষ্টার, আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন পাগলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জজ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়েদুর রহমান ওবায়েদ, আলীগঞ্জ পলাশ নগর যুব সংঘের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি হাবিব খন্দকার সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।