মো.শফিকুল ইসলাম আরজু
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ভাষণ যাহা আমাদের বাঙালীর মনে চেতনা জাগিয়েছিল দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার এবং স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখবার। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে দেশের স্বাধীনতার জন্য বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো। জাতি, ধর্ম, শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে সবার মনে একটি স্বপ্ন জেগে উঠেছিলো স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ে তোলার। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানি শক্তিকে পরাভুত করে বাঙালি ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে একটি লাল সবুজের পতাকা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের।
স্বাধীনতার পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে গিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের রাতে নরপিশাচদের হাতে নির্মম ভাবে হত্যার শিকার হন স্বপরিবারে।
আজ অশ্রু ঝড়া বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা আগষ্ট মাস। আমরা বেদনাচিত্তে গভীর ভাবে স্মরণ করি সেই মহা নায়ককে, সেই সাথে নিহত স্বপরিবারের সকল শহীদের। তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার স্বপ্নকে লুণ্ঠিত করে যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের সেই অনাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন স্বপ্ন হয়েই থেমে আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবী নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে যায়। হত্যাকারীরা আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে থাকলেও বিচার ব্যবস্হার মধ্য দিয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার ঘোষণা হয়। হত্যাকারীদের এ ফাঁসির ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের মনে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে।
আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বসবাস করলেও এখনো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির প্রেতাত্মারা ঘুরে ফিরছে এই সোনার বাংলাকে ধ্বংস করার নৃশংস ষড়যন্ত্রে। তারা ভালো মুখোশের রূপ ধারন করে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এরা যুব সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছে মাদক, খাদ্য দ্রব্যে করছে ভেজাল, অধিক মুনাফার আশায় গড়ে তুলেছে কালোবাজারি সিন্ডিকেট। আইন বিচার ব্যবস্হার তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে খুন,অপহরণ, জবড় দখল,পেশী শক্তি ও ক্ষমতার দাপট। এদের মনে নেই কোন দেশ প্রেম, নেই কোন মানবতা, মনে প্রাণে নেই কোন বঙ্গবন্ধুর চেতনা। উন্নত দেশ গড়ে তোলার সহযোগিতা।
বঙ্গবন্ধুর চেতনায় যারা জাগ্রত তারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। তারা সর্বদাই দেশপ্রেমী ও দেশের সাধারন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেশেকে রক্ষা করবে।