স্বপ্ন কে না দেখে। হোক সে গরিব কিংবা সমাজের বিত্তশালী। সবার হৃদয়েই স্বপ্নে বসবাস। তবে বিত্তশালীদের স্বপ্ন পূরণ হলেও সমাজের অবহেলিত ও গরিব শ্রেণী মানুষের স্বপ্ন অনেক সময় স্বপ্নই থেকেই যায়। সাধ্যের অভাবে ওই গরিব শ্রেণী মানুষদের স্বপ্ন জীবনের পৃষ্ঠা থেকে ঝরে যায় নিরবে। তবে এদের স্বপ্ন পূরণে যদি বিত্তশালীরা এগিয়ে আসে, তাহলে তাদের মুখেও হাসি ছড়িয়ে পড়তো সমানভাবে। তেমনি এক স্বপ্নে বিভোর ছিলো শহরের নাসিক ১৬নং ওয়ার্ডস্থ বৌবাজারের ঋষিপাড়ার ১০ নারী ও শিশু। তাদের স্বপ্নটা ছিলো শহরে বুকচিরে গড়ে উঠা সবচেয়ে নান্দনিক শেখ রাসেল পার্কের সুইমিংপুলে গোসল করা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্নটা খুব ছোট হলেও এই স্বপ্নটাও পূরণ করার ক্ষমতা ছিলো না তাদের কাছে। তাই তারা দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর রিয়াদ হাসানের। রিয়াদ হাসান তাদের এ দাবির কথা শুনে সাথে সাথে তাদের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দিলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ২টায় শেখ রাসেল পার্কের সুইমিংপোলে তাদের গোসল করানোর সব ব্যবস্থা করে দিলেন নিজ খরচে। অবশেষে চলে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। একে একে সুইমিংপোলে প্রবেশ করলেন সেই স্বপ্নবিলাসী মনের অধিকারী ১০ নারী ও শিশু। দীর্ঘ বহুক্ষন সুইমিংপোলের জলে জলনৃত্য করে সময় কাটালেন তারা।
এদিকে এ খবরে বাহিরে ততক্ষনে গণমাধ্যমেরকর্মীরা হাজির। সুইমিংপোলে গোসল শেষে এক এক করে যখন বেড়িয়ে আসলো ঋষিপাড়ার সেই নারী ও শিশুরা, সেই মুর্হুত্বে গণমাধ্যমেরকর্মীরা তাদের কাছে জানতে চাইলেন তাদের স্বপ্নপূরণের অনুভ‚তির কথা।
উচ্ছ¡াসিত মন নিয়ে তারা বললেন, এই সুইমিংপোলের কথা আমরা বহু শুনেছি। সুইমিংপোলের কথা শুনেই আমরা এই সুইমিংপোল নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। সব সময় ভাবতাম, কবে সেই সুইমিংপোলে আমরা গোসল করবো? সারাবছর অনেকের মুখে শুনেছি সুইমিংপোলে নাকি বড়লোকেরা (ধণী) গোসল করে। আমরাতো গরিব, তাহলে আমরা কি কখনও এই সুইমিংপোলে গোসল করতে পারবো না? একদিন ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াদ ভাইয়ের সাথে আমাদের দেখা হয়। কথা প্রসঙ্গে আমরা তার কাছে আমাদের স্বপ্নের কথা জানাই। ভাবতেই পারিনি, কথাটা শুনে তিনি আমাদের স্বপ্নপূরণে এতটা আগ্রহ দেখাবেন। আমরাতো প্রথমত তার কাছে স্বপ্ন পূরণের কথা বলতেই ভয় পায়ছিলাম। যাইহোক, তিনি আমাদের কথা শুনে সাথে সাথে আমাদের স্বপ্নপূরণের ব্যবস্থা করে দিলেন। আজ সুইমিংপোলে গোসলের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি।