সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেগম খালেদা জিয়া ও নুরুল ইসলাম সরদারের সুস্থতায় খাশি সাদকা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  সনমান্দীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ‘জনতা আগে, নেতা পরে’: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উন্নয়নে আধুনিক রোডম্যাপ ঘোষণা বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের ফতুল্লায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে মোহাম্মদ আলীর কোরআন খতম ও দোয়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমি আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ; কোন গুজবে কান দিবেন না -মুফতি মাসুম বিল্লাহ বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সাথে যুব ফেডারেশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  জামায়াত শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়,ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে – মইনুদ্দিন আহমাদ ত্বকী হত্যার ১৫৩ মাস: বিচারহীনতার প্রতিবাদে সোমবার আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি অসুস্থ আনিসুল ইসলাম সানির পাশে হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী

দৃষ্টিহীন আলভীর পাশে মানবতার হাত বাড়ালেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৬৫ 🪪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগ এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক আজিজুল হক ও গৃহিণী রাশেদা বেগমের কিশোরী মেয়ে হাকিমা আক্তার আলভি দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দৃষ্টিশক্তিহীন অবস্থায় ভুগছে। পাঁচজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আজিজুল হক গার্মেন্টসে কাজ করে অল্প বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খান। তবুও ধার-দেনা ও আত্মীয়স্বজনের সাহায্যে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে, কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।

চিকিৎসকরা দ্রুত ভারতের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের ভিসাও সংগ্রহ করেছেন পরিবারটি, কিন্তু বিদেশে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। দৃষ্টিহীন মেয়েকে নিয়ে একের পর এক দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হন রাশেদা বেগম।

অবশেষে হতাশ হয়ে সোমবার দেখা করেন সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। জেলার এই অভিভাবক মনোযোগ দিয়ে শোনেন অসহায় মায়ের কষ্টের গল্প। তিনি রাশেদাকে সান্ত্বনা দেন, হতাশ না হতে পরামর্শ দেন এবং আলভীর চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

রাশেদা বেগম বলেন, “আমি মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, কেউ পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু ডিসি স্যার আমার কথা শোনামাত্রই অনুদানের চেক দিলেন। পরিমাণে ছোট হলেও এই সহায়তা আমাদের জন্য অনেক সাহসের।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের স্বচ্ছল মানুষরা যদি মাত্র ১০০ টাকা করে দেন, তবে আমার মেয়ের চিকিৎসার সব খরচ উঠে যাবে। আমার মেয়ের স্বপ্ন—চোখ ফিরে পেয়ে পড়ালেখা করে একদিন ডাক্তার হবে।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সীমিত বাজেটের কারণে একজনকে খুব বেশি সহায়তা করা সম্ভব নয়। তবে প্রায়ই এমন অসহায় মানুষ আমার কাছে আসেন। জেলার অভিভাবক হিসেবে আমি চেষ্টা করি, অল্প হলেও সবার পাশে দাঁড়াতে।”

আলভীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102