নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মনি সুপান্থ’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীনা তাজরীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম কাজল, সিপিবির জেলা সভাপতি শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব, ন্যাপ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, বাউল সংগঠন সম্মিলিত জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বাঁধন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, সামাজিক সংগঠন সমমনার উপদেষ্টা দুলাল সাহা এবং শিল্পী অমল আকাশ।
মানববন্ধনে বক্তারা রাজবাড়ীর ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। রফিউর রাব্বি বলেন, “স্বাধীনতার আগে ও পরে কখনো কবর থেকে লাশ তুলে এভাবে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। ধর্ম রক্ষার নামে ভিন্ন মতের, ভিন্ন আকিদার মানুষের উপর এমন বর্বরতা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। এটি যেমন মানবতাবিরোধী তেমনি ইসলাম বিরোধী।” তিনি বুখারী শরীফের একটি হাদিস উল্লেখ করে বলেন যে, নবী (সাঃ) শত্রুর লাশ বিকৃত করতে বা আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে নিষেধ করেছেন, কারণ আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। অথচ এখন ঈমান আকিদা রক্ষার নামে, ধর্মের নামে দেশে বর্বরতা চলছে।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে মব তৈরি করে শত শত মাজার-খানকায় হামলা হয়েছে, বাউলদের মেলা-উৎসবে, মসজিদে-মন্দিরে এবং নারীদের উপর হামলা হয়েছে। এই ধরনের বর্বরতা নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের এই ব্যর্থতার কারণে দেশে এক শ্রেণির মৌলবাদী গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বক্তারা সরকারের কাছে মব তৈরির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, জনগণের আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, সকল ধর্ম, মত ও পথের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য, দেশকে মৌলবাদীদের অভয়ারণ্য বানানোর জন্য নয়।