ইতিহাস বলছে,১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র (UDHR) গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ১০ ডিসেম্বরকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মানব মর্যাদা ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।
বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)—একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, যা দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রতিকার ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে আসছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান মনির হোসেন মানবাধিকার রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন,মানবাধিকার কোনো নির্দিষ্ট দিবসের বিষয় নয়; এটি মানুষের জন্মগত অধিকার, প্রতিদিনের অধিকার। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার প্রকৃত পরিচয়। LAHDF মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও এই অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হবে।
দিবসটি ঘিরে LAHDF দিনব্যাপী যে কর্মসূচি পালন করে তার মধ্যে আছে মানবাধিকার বিষয়ক মুক্ত আলোচনা, আইনগত পরামর্শ প্রদান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতা র্যালী। অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, সমাজে ন্যায়, সমতা ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আয়োজকেরা বলেন, প্রতিদিন যদি আমরা একজন মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হই, তবে সমাজ আরও ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক হয়ে উঠবে।
মানবাধিকার দিবসের মূল বার্তা,মানুষের অধিকার রক্ষা কোনো আয়োজন নয়, এটি প্রতিদিনের দায়িত্ব।