অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চ অলংকৃত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার তারিক আল মেহেদী এবং নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
প্রধান অতিথির ভাষণে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমরা জানি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের দুইজন দিকপাল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যাঁর রচনার পরশ পড়েনি সাহিত্যের এমন কোনো অঙ্গন নেই – উপন্যাস, ছোটগল্প, গান, কবিতা সর্বত্রই তাঁর সৃজনশীলতার স্বাক্ষর। বিশেষ করে তাঁর ছোটগল্পের দিকে তাকালে আমরা অবাক হয়ে যাই, একজন মানুষের পক্ষে এই বিপুল সৃষ্টি কীভাবে সম্ভব! তিনি শুধু বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধই করেননি, ‘গীতাঞ্জলি’র মাধ্যমে একে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন এবং নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বাংলা সাহিত্য তাঁর কাছে চিরঋণী।”
জাতীয় কবি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অন্যদিকে, আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, সীমাহীন কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমরা তাঁর কাছেও ঋণী। এই দুই মণীষীর জীবন ও কর্ম আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। তাঁদের গ্রন্থাবলি পাঠে তরুণদের উৎসাহিত করে জ্ঞান আহরণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দুই কবির অমূল্য সৃষ্টি ও সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।