বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে জানান, “গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে রব মিয়া নামে এক নরপশু স্ত্রী সুলেখাকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পাশে বসে থাকে। তাদের চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের জানালা দিয়ে এই নির্মম দৃশ্য দেখতে পায়। সাথে সাথে পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় এবং রব মিয়াকে গ্রেফতার করে”।
এলাকাবাসী ও সন্তানদের কাছ থেকে জানা যায় যে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রব মিয়া প্রায় সুলেখাকে মারধরসহ মানসিক নির্যাতন করতো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি এডভোকেট হাসিনা পারভীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতার সাথে কথা বলেন, হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান। ওসি মহোদয় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রীনা আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং সকল শিশু ও নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন মামলার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। যাতে কেউ আর এরকম ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। তাঁরা আরো বলেন- অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, এক/দেড় মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে একই রকমের লোমহর্ষক ৩টি ঘটনা ঘটেছে। যদি একটিরও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে হয়তো এরকম ঘটনা ঘটতো না। ফাঁসির আসামিও জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আসছে। কিছুদিন আগে দিনাজপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় এমনটি ঘটেছে। তাই পৈশাচিক নির্যাতকেরা ভীত না হয়ে বরং উৎসাহিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র, আইন ও বিচার উপদেষ্টা- আপনারা বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখুন, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। বিচারের দীর্ঘসুত্রীয়তায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করুন।