সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী লামিয়া আক্তার, তাঁর বড় বোন স্বপ্না আক্তার ও দুই বছরের সন্তান আবদুল্লাহ রাফসানকে হত্যার পর তাদের মরদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী ইয়াছিন আলী। বুধবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি নেওয়া হয়।
পুলিশ ও ইয়াছিনের জবানবন্দি অনুযায়ী, ঈদের আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি স্ত্রী লামিয়ার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করলেও মাদকাসক্তি ও বেকারত্বের কারণে লামিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন। লামিয়া তাঁর বোন স্বপ্না ও শিশু সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতেন। ৮ এপ্রিল রাতে ইয়াছিন লামিয়ার ভাড়াবাড়িতে গেলে স্বপ্না আক্তার (যিনি মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন) বঁটি নিয়ে লামিয়াকে আক্রমণ করতে আসেন। এ সময় লামিয়া ইয়াছিনকে দায়ী করে বকাঝকা করলে ক্ষুব্ধ ইয়াছিন স্বপ্নার কাছ থেকে বঁটি নিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ মারেন। পরে চিৎকার করতে থাকা স্বপ্নাকেও হত্যা করেন তিনি। সর্বশেষ নিজ সন্তান রাফসানকে গলার তাবিজের সুতা দিয়ে শ্বাসরোধে মারা হয়।
ইয়াছিন জবানবন্দিতে জানান, তিনি লামিয়া ও স্বপ্নার মাথা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা করে বস্তায় ভরে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে ময়লার ভাগাড়ে ফেলেন। রক্তমাখা কাপড় ও হত্যার অস্ত্র নিকটস্থ পুকুরে নিক্ষেপ করেন। ১১ এপ্রিল পুলিশ বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করলে লামিয়ার বোন মুনমুন আক্তার ইয়াছিন, তাঁর বাবা দুলাল মিয়া ও বোন শিমু আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জবানবন্দি শেষে ইয়াছিনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁর রিমান্ড নিয়ে আরও তদন্ত করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে।