শুক্রবার (২১শে মার্চ) বাদ জুম্মা ডিআইটি চত্বর থেকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের এ কর্মসূচী পালন করেছে ।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা দ্বীনইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন,ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেই হবে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি, আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও দ্রুততার সাথে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান উদ্দিন নান্নু। নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও ইজরাইলে কি কোনো বিবেকবান মানুষ নেই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সবাই অন্ধ ও বধির? নিস্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইসরায়েলকে থামানোর মতো কেউ নেই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কি দরকার?।
তিনি আরও বলেন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইসরায়েলের এই বর্বরতা সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে।
অনান্ন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মোদি সরকার। যদি ভারত সরকার মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ না করে, তবে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্যবর্জন করবে মুসলমান সম্প্রদায়।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও ভারতে মুসলমানদের উপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের আহ্বান জানান।