ইএসএডিএস, ক্লিন এবং বিডব্লিউজিইডি-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
“নবায়নযোগ্যতা, সমৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব” শীর্ষক এই বিশেষ উদযাপনে স্থানীয় সম্প্রদায়, নীতিনির্ধারক এবং পরিবেশবাদীরা অংশ নেন। তারা নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও প্রসারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। চীনের নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকার ফলে বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি বিশেষ সুযোগ পেতে পারে বলে আলোচকরা মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজিত আলোচনাসভায় নবায়নযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমাতে এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, তা তুলে ধরেন।
ESADS-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “চীনা নববর্ষ পুনর্নবীকরণের ও আশার প্রতীক। নারায়ণগঞ্জে এটির উদযাপনের মাধ্যমে আমরা এই ঐতিহ্যকে সম্মান জানাচ্ছি এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হয়।”
BWGED-এর পরিচালক বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উদযাপনটি আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জরুরি প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।”
অনুষ্ঠান শেষে চীনা সরকারের প্রতি একটি যৌথ আবেদন পেশ করা হয়, যাতে বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য তারা সহায়তা করে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে শুধুমাত্র একটি উৎসব উদযাপন করা হয়নি, বরং এটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মীযানুর রহমান,সহভাপতি ফজলুল হক ভূঁইয়া, অভিনেতা শিশির,বোরহান বকুল প্রমুখ।