শুক্রবার (২৫শে অক্টোবর) ফিলিস্তিনে ও লেবাননে ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ আলেমদের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ এক বছর হয়ে গেলো ফিলিস্তিনের মানুষের রক্তে ফিলিস্তিন ভেসে গিয়েছে। পাশাপাশি লেবাননে হামলা চলছে। আজ সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। ফিলিস্তিনের শক্ত প্রতিবাদ করার শক্তি নেই। সামান্য শক্তি যেটুকু আছে তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা করা উচিত ছিল। যেভাবে ইজরায়েলকে সহযোগীতা করেছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য। তারা যেভাবে ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে। আমাদের সকলকে ঈমানি জজবা নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে।
নারায়নগঞ্জের ওলমায়েকেরামের শীর্ষ নেতা ও আমলা পাড়া মাদক্রসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কাদির বলেন ১৯২৪ সালে ওসমানী খেলাফতের মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন ও এধরণের হত্যাকান্ড চলছে, আর জাতিসংঘ নিরব ভূমিকা পালন করছে, যখন তাদের দোসররা আক্রান্ত হয়, তখন নিরাপত্তা পরিষদে বিভিন্ন আইন পাশ করে মুসলমানদের উপর মার্কিনিদের অস্ত্র নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েল গনহত্যা চালাচ্ছে। ওপরদিকে আরব রাষ্ট্রে রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চুপ করে বসে আছে। আমরা তাদেরকে বলতে চাই আপনারা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পাশে দারান এবং আপনাদের খনিজ সম্পদ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন, তাহলে দেখবেন আমেরিকার দোসরদের অবস্থা কি হয়। তিনি আরও বলেন আজ কে ইরান মুসলমানদের পাশে হারিয়েছে। এই যুদ্ধ বন্ধে ওআইসি কে মূখ্য ভূমিকা গ্রহন করতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দায়িদের শাস্তির ব্যাবস্হা গ্রহন করার আহবান জানান।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর ও ডিআইটি মসজিদের খতীব আল্লামা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বক্তব্য আলীরটেক ইউনিয়নের মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, দেওভোগ মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতী আব্দুর রহমান, বেফাক নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি মুফতী মুফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তালতলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মহিউদ্দিন খান, হাজিপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মুফতী মাহমুদ হাসানের যৌথ পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন- বন্দর উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী কবির হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কবির হোসাইন, ফতুল্লা থানা উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুফতী ফয়জুল্লাহ, বাগে জান্নাত মাদ্রাসার মুফতি আব্দুর রহীম, হাজি সাইজুদ্দীন মাদ্রাসার মুফতি আবুল হোসাইন, সিদ্ধিরগঞ্জের মুফতী নুর হোসাইন নূরানী, কাশীপুর ইমাম-উলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি মুফতী আব্দুল হান্নান, মুফতি সালমান রফিকী সহ প্রমূখ।