নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীরটেক গ্রামের প্রধান ঈদগাহ ভেঙে মসজিদ নির্মাণে পাঁয়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ঈদগাহ সংলগ্ন একটি দোতালা মসজিদ থাকা সত্বেও ঈদগাহ ভেঙে আরেকটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগে এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানান, আলীরটেক গ্রামে একটাই ঈদগাহ। এর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দ বেবহৃত হয়ে আসছে। ঈদগাহ সংস্কারের জন্য কিছুদিন আগেও জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্দ আসে। এই সরকারি বরাদ্দকৃত ঈদগাহ ভেঙে ৪/৫ গজের মধ্যে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।বলে দাবি তাদের। তাছাড়া পাশাপাশি দুটি মসজিদ হলে এখানকার মুসল্লীদের মাঝেও বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এলাকাবাসী আরও জানায় ঈদগাহ ভেঙে মসজিদ নির্মিত হলে ঈদের নামাজ কোথায় পড়বে তারা। এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষে সকলের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও তারা এই মসজিদ নির্মাণ করছেন একটি কুচক্রী মহল। মসজিদের পাশে আরেকটা মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা এটা কোনোভাবে এলাকার লোকজন মেনে নেবে না।
সরকার বাড়ি মহল্লাবাসীর দাবি,জোহর এবং আসরে দুই কাতার মুসল্লী হয়না কেন আরেকটি মসজিদ নির্মাণের দরকার। এখানে আরেকটি মসজিদের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বাধাঁসত্বেও মসজিদ নির্মাণ করলে এলাকার মুসল্লীরা এর কঠোর প্রতিবাদ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির হোসেন এর কাছে ফোনে জানতে চাইলে, ‘তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।এলকায় গেলে বলতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল এর মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি জানান,নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য আপনার কথা বুঝতে পারছিনা বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।