নারায়নগন্জে পশ্চিম সৈয়দপুরে ২ শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আসামি শিপন আহম্মেদ (৩৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট হতে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সিলেটের গোটাটিকর উছবাড়ীর হারিছ মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন । তিনি আরও জানান ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪ টায় ২ শিশুকে টিভিতে কার্টুন দেখানো ও চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে শিপন আহম্মেদ তার ঘরে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এর আগে, ভিক্টিমের মা ও মামলার বাদীর স্ত্রী শারীরিক অসুস্থাতার কারণে শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরে চলে যায়। এর পর ভিক্টিমের পিতা ও মামলার বাদী নিজের নাবালিকা মেয়েকে একই এলাকায় বসবাসরত তার ফুফুর কাছে রেখে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় চলে যান।
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে সে জানতে পারে, শিপন আহম্মেদ তার নাবালিকা মেয়ে ও পাশের ঘরের শিশুকে কৌশলে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনা আশপাশের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাযোশে ধর্ষণ ঘটনার বিচার শালিস করে আসামি শিপনকে তার বাড়ি হতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
পিবিআই জানায়, ১০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ভিকটিমের পিতা মামলা দায়ের করে। পিবিআইয়ের আভিযানিক টিম মামলা গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট থেকে শিপন আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে, ১০ মার্চ ভিকটিমদের আদালতে আনা হলে তারা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিন এর আদালতে আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের স্বপক্ষে জবানবন্দি প্রদান করে। গ্রেপ্তার শিপন আহম্মেদকে (৩৪) জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনার সময় আসামি শিপনের স্ত্রী ইতি আক্তার তার সন্তানসহ তার বাবার বাড়ি পুরাতন সৈয়দপুর এলাকায় ছিল। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসামি শিপন আহম্মেদ নাবালিকা ভিকটিমদের ধর্ষণ করে। মামলার ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামি যারা পারস্পরিক যোগসাজোসে বিচার শালিসের নামে আসামি শিপন আহম্মেদকে পালিয়ে যেতে সহায়তাসহ বাদী পক্ষকে বিচার পেতে বাধাঁর সৃষ্টি করেছে সেই বিষয়ে জোর তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ।