হাটসভায় বক্তব্যে অঞ্জন দাস বলেন, নারায়ণগঞ্জ–০৩ আসন আজ বেকারত্ব, শ্রমিক নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, শিক্ষা স্বাস্থ্যের অব্যবস্থাপনা এবং দখল চাঁদাবাজির রাজনীতির ভারে জর্জরিত। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো জনমানুষের অধিকারভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, গণসংহতি আন্দোলন কোনো লুটেরা গোষ্ঠীর রাজনীতি করে না; আমরা শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও তরুণদের কণ্ঠস্বর হয়ে সংসদে কথা বলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ‘মাথাল’ মার্কা মানে মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রতীক শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, কৃষকের ন্যায্য দাম, নারীর মর্যাদা ও যুবসমাজের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। জনগণ যদি পরিবর্তন চায়, তাহলে ভয় নয় সংগঠিত শক্তির পথেই এগোতে হবে। আগামী নির্বাচনকে গণমানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের গণভোটে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি।
হাটসভায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, নারী সংহতি জেলা আহ্বায়ক নাজমা বেগম, সোনারগাঁও থানার আহ্বায়ক মোমেন হাসান প্রান্ত ও সম্পাদক মো: মোবাশ্বির হোসাইন, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন জেলার প্রচার সম্পাদক শাকিব সানি ও সদস্য রাতুল দেওয়ানসহ গণসংহতি আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ‘মাথাল’ মার্কায় ঐক্যবদ্ধ জনসমর্থন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।