দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করার গুরুতর অভিযোগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নোটিশ জারি করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘খাস কমিটি’র এক জরুরি বৈঠকে কাসেমীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নোটিশে তার বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত কয়েক মাস যাবত মনির হোসাইন কাসেমীর বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি সন্দেহাতীতভাবে নষ্ট করেছে। তার এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে তাকে যথাযথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন বক্তব্য ও কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছেন, যা সরাসরি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
নোটিশে মনির হোসাইন কাসেমীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলের একজন প্রভাবশালী যুগ্ম মহাসচিবকে শোকজ করার মধ্য দিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও মতবিরোধ প্রকাশ্যে এল। দলের হাইকমান্ড যে শৃঙ্খলার প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে, এই নোটিশ তারই ইঙ্গিত বহন করে।