নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, ক্রীড়া সংগঠক ও মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, আগামীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ওপর। তিনি বলেন, “এই শহরের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবে, তাকেই প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।”
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে খানপুর বরফকল খেলার মাঠে আয়োজিত এক বিশাল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান আয়োজক হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। মাসুদুজ্জামান মাসুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে, যা এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় রাজনৈতিক জমায়েতে পরিণত করে।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকেই অনেক প্রশ্ন করছেন যে আমি বিএনপির প্রার্থী হবো কিনা। আমি মনে করি, আজকে এখানে উপস্থিত হওয়া বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের চাওয়া-পাওয়াই এই প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করবে। ’তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিদ্যমান সমস্যা ও সংকটে আমরা কাজ করতে চাই। এর জন্য জনপ্রতিনিধি হওয়া জরুরি নয়, প্রয়োজন সবার সহযোগিতা।’
এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস-এ-শুরার সদস্য মাওলানা মাইন উদ্দিন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মহানগর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, বিকেএমইএ-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোরশেদ সারোয়ার সোহেল এবং খেলাফত মজলিসের সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস উর রহমান সহ বিভিন্ন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, এনসিপি, ইসলামি আন্দোলন, গণসংহতি, সিপিবি, বাসদের নেতাকর্মীরা সহ ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা এসেছেন। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিশাল আয়োজন এবং বিভিন্ন দলের নেতাদের উপস্থিতি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে মাসুদুজ্জামান মাসুদের শক্তিশালী অবস্থান এবং একটি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।