শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

শীঘ্রই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনকারীদের মুখোশ উম্মোচন করবো-আক্তারুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৬০৬ 🪪

গত বুধবার(৮মার্চ)বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীরটেক ইউনিয়ন মুক্তারকান্দি আদর্শ। উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ আক্তারুজ্জামান এর অনিয়ম প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন ও পরদিন বৃহস্পতিবার ৯মার্চ স্হানীয় বিভিন্ন পএিকা ও অনলাইন পোর্টালে আলীরটেকে আক্তারুজ্জামানের দুনীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তা মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমুলক দাবী করে গনমাধ্যমে প্রতিবাদ দিয়েছে মোঃ আক্তারুজ্জামান।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমূলক।যারা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মূলত ঐ ম্যানেজিং কমিটির ভিওি নেই। কারণ এ কমিটি গঠিত হয়েছিল সম্পুর্ন অনিয়মতান্তিক ও অবৈধভাবে যা বর্তমান মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে সম্পুর্ন স্হগিত রয়েছে। এই অবৈধ কমিটির বিদ্যালয়ের যে কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বা এ সংবাদ সম্মেলন করা সম্পুর্ন বেআইনি কাজ।
তদুপরি নিজেদের প্রতিহিংসা ও কুইচ্ছে চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কেবল কুৎসা রটানোর উদ্দেশ্য সংবাদ সম্মেলন নামক মিথ্যা নাটক মঞ্চায়িতকরেছে যা এলাকার সকলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে আমি ১৪ বছরে ১০লক্ষ টাকার চা নাস্তার খরচ দেখিয়েছি যা উলঙ্গ মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর বর্ববাচিত কর্মকান্ড।মূলত আমি বিদ্যালয়ের কখনোই কোন খরচ তৈরি করিনি।ওটা আমার কাজও না।বিদ্যালয়ের যে কোন খরচরাদি প্রথম কমিটিতে আলোচনা সাপেক্ষে তা পাশ করে ও তার বিস্তারিত বিবরণ বিদ্যালয়ের রেজিস্টি খাতায় এন্টি করা হতো।তৎপর অন্তত একজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও দুইজন শিক্ষক মিলে খরচ করতেন।পরিশেষে আমি কমিটির সকলকে নিয়ে পুনঃ পরীক্ষা করায়ে তাতে সাক্ষর করতাম।আর বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন খরচাদি বিল ভাউচারের মাধ্যমে করে থাকতেন পরিশেষে কমিটিকে অবহিত করে সর্বশেষ আমার স্বাক্ষর নিতেন। আমি বিগত ১৪ বছরে বিদ্যালয়ের টাকা স্পর্শ করে দেখিনি।নিজ হাতে কোন অর্থ লেনদেন করেছি বা একটি টাকা খরচ করেছি এমন কোনো প্রমানদি যদি ঐ কথিত সংবাদ সম্মেলনকারী দেখাতে পারেন তাহলে আমি ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপুরন দিতে বাধ্য থাকিব।আর যদি তাদের অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তবে তাহারাও ১০কোটি টাকা মানহানি বাবদ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।তিনি আরো উল্লেখ্য করেন আমি যখন বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহন করি তখন বিদ্যালয়ের ছাএ সংখ্যা ছিলো মাএ দেড়শোর মত।আমি দীর্ঘ ১৪ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ও প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এ ছাএছাএীর সংখ্যা ৬০০ তে উর্ওীন করি।ফলে ছাএছাএী জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ছাএছাএী অভিভাবকবৃন্দ ও মুক্তারকন্দি গ্রামবাসী আমাকে বার বার বিদ্যালয়ের তখনকার অংশে দোতলা ভবন করে দেবার জন্য বিশেষ অনুরোধ করতে থাকেন।এক পর্যায় উক্ত গ্রামের বাজার মাঠে সকলে আমাকে নিয়ে এক বিশেষ মিটিংয়ের আয়োজন করে আমাকে দোতলা ভবন করে দেবার জন্য আবারো বিশেষ অনুরোধ করেন এবং সকলে সম্মিলিতভাবে ঘোষনা দেন যে আমি দ্বিতল ভবন করে দিলে আমি বা আমার পরিবারের যে কারো নামে দ্বিতল ভবনের নামকরণ করা হবে।অতঃপর আমি এলাকার সকলের স্বার্থে উক্ত ভবন করে দিলে গ্রামবাসীদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এবং সকল অভিভাবকদের পক্ষে তৎকালীন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দ্বিতল ভবনের উক্ত অংশে দ্বিতল ভবনের দাতা হিসেবে আমার নামে নামকরণ করা হয়।অতঃপর বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এদের অনেকেই প্রকাশ্যে দ্বিতল ভবন করে দেবার জন্য ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য হাজার মানুষের সম্মুখে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। আমার নাম চিরদিন স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে বলেও বহুবার বক্তব্য পেশ করেছেন।বিগত ১০ বছর যাবৎ ভবনে আামার নাম দাতা হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এর মধ্য একবারও এ নিয়ে কোন প্রশ্ন বা কেউ অভিযোগ করেনি।কিন্তু বড়ই নিষ্ঠুরতা সাথে এ মহলটিই গত মাসে সম্পুর্ন অন্যায় ও বেআইনীভাবে আমার নাম সিমেন্ট বালি দিয়ে মুছে দিয়েছে। এটা অত্যন্ত ঘৃনিত নেক্কারজনক ও বেআইনী কাজ।

আমি অত্র এলাকা বাসীর উদ্দেশ্য বলতে চাই এই মুক্তারকান্দি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজকের এর ভালো অবস্থান তাতে আমি ও আমার পরিবারের অর্থ ও আমার দীর্ঘ ১৪বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদান রয়েছে সেই বিষয়ে সকলে জ্ঞাত আছেন।আমি হলফ করে বলছি দ্বিতল ভবন
অএ এলাকার সকলের সম্মুখে ও উপস্থিতিতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ করেছি।সে বিষয়ে অত্র এলাকার প্রতিটি মানুষের জানা আছে।কিন্তু এই কুচক্রীমহল নানা অপকৌশল ও অপপ্রচার করে তা অস্বীকার সহ আমাকে নানাভাবে হেনস্হ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

আমি আমার এলাকা বাসী ও সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের উদেশ্যে বলতে চাই ঐ অবৈধ পকেটস্হ কমিটিও এই কুচক্রীমহল কি করে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান জাকিরকে সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করে নিজেরা এরকম বেআইনী সংবাদ সম্মেলন করে ও এমন লজ্জাজনক মিথ্যাচার করে আমার সুনাম নস্ট করতে পারে?এখানে কি চেয়ারম্যান জাকির সাহেবের সম্প্রীক্ততার প্রমাণ করেনা?

আমি এই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সকল এলাকাবাসীকে সৎ ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক কাতারে দাড়িয়ে আমাদের এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102