নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডের মানুষের ময়লার সাথে বসবাস। ময়লার পাহাড়ে পরিণত হয়েছে আল আমিন নগরের ময়লার স্তুপ। ময়লার বিকট গন্দ্ধে এখানকার জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
নিতাইগঞ্জ,তামাকপট্রি,কদমতলী,শহীদনগর,ও ডিয়ারা এলাকা নিয়ে ১৮নং ওয়ার্ড গঠিত। এখানে ৫০ হাজারের বেশী লোকের বসবাস। এখানকার বর্তমান কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না ও নারী কাউন্সিলর আফসানা আক্তার বিভা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৮নং ওয়ার্ড আয়তন দিক থেকে যেমন বড় ঠিক তেমনি এ ওয়ার্ডের দুর্ভোগ বড় বড়। এ ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের বা দিকের তিনটি এলাকা -শহীদনগর মেম্বার গলি,আল আমিন নগর,পাঠান নগর ও সুকুমপট্রির অন্তত পচিশ হাজার বাসিন্দা, দীর্ঘদিন ধরে ময়লার পাহাড়ের সাথে বসবাস করছে।
এ সব এলাকার বাসিন্দারা এ প্রতিবেদকের জানান তাদের বাড়িঘরের পাশে নাসিক যেই ময়লার ড্যাম্পিং পয়েন্ট আছে।সেখানে প্রতিদিন টন টন ময়লা ফেলা হয়।মাননীয় মেয়র ডঃ সেলিনা হায়াত আইভী কিভাবে আবাসিক এলাকায় ময়লা এত বড় ড্যাম্পিং করার চিন্তা করল তা এলাকাবাসী বোধগম্য নয়। আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে অসুস্হ মানুষ আছে।যখন বেকু দিয়ে ড্যাম্পিং ময়লা সরায় তখন দুর্গন্দ্ধে আমরা কান্না করি। তারপরও সহ্য করেই আছি। শহীদনগর নিবাসী মোঃ পন্ডিত হোসেন বলেন ময়লার দুর্গদ্ধে মসজিদের মুসল্লীরা নামাজ পড়তে পারে না।
আল আমিন নগর বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওমর আলী জানান ভাই গরীবের কথা কেউ ভাবে অনেক কষ্ঠে জমিটুকু ক্রয় করে বসত করছি। কিন্তু এখন থাকতে পারতেছি না। আবার বিক্রি করতে পারছি না।
এ বিষয় জানতে চাইলে ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না বলেন সাবেক কাউন্সিলর কবিরের সময় এ ময়লার ড্যাম্পিংটি করা হয়েছিল।এখন আমার ওয়ার্ডের জনগণ দুর্ভোগ পোহাছেন।মাননীয় মেয়র আপা এটি সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি দ্রুতই এটা এস্হান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।