নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি মনোনিত পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান উঠান বৈঠক প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
বিএনপি তৈরি হলো হ্যা বা না ভোটের মাধ্যমে। এরপর তারাই প্রেসিডেন্ট হলেন, সংসদ বানালেন, রাজাকারদের পবিত্র সংসদে ঢোকানো হলো। আমরা ২১ বছর বোকার মত চেয়ে রইলাম, একুশ বছর আমাদের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানতে পারে নাই। আমাদের এই টাইমের যে বাচ্চারা আছেন, তারা জিয়াউর রহমানের নাম করেন। দেখেন, আমি সৌভাগ্যবান। আমাকে জাতীয় পার্টিতে যেতে হয়েছে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও। তবে আওয়ামী লীগ আমাদের বাড়িতেই জন্ম। আমাদের ভালোবাসা হলো সাধারন মানুষ কে ভালোবাসা।
বুধবার (২৭শে ডিসেম্বর) নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষ্যা এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে একটা যুদ্ধ আছে ৭ তারিখে। এই যুদ্ধের পর আমরা ভাল থাকতে পারবো না কি পারবো না? আমি আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছি। কয়েক মাস আগে আমি মৃত্যু শয্যায় ছিলাম, তখন বন্দরে এমন কোনও মসজিদ নেই যেখানে আমার জন্য দোয়া হয়নি, এমন কোনও স্কুল বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে আমার জন্য দোয়া হয়নি। আমি লাইভ নারায়ণগঞ্জের মাধ্যমে দেখেছি, মসজিদে মসজিদে আমার জন্য দোয়া হচ্ছে। কোথাও বাতাসা বিতরণ হয়নি, তবুও মসজিদে অসংখ্য মানুষ আমার জন্য দোয়া করেছেন। তাদের ভোটও যদি আমি পাই, তাহলে তো বিশাল ব্যাপার। আমার জন্মই হয়েছে একটা কারণে, মানুষকে ভালবাসার জন্য। তিনি বলেন, তিনটা শয়তানকে আল্লাহ মরণ দেন নাই, ওরা আমাদের পিছে লেগে আছে। ৭ তারিখের যুদ্ধে যদি আমরা জয়ী না হতে পারি, তখন দেখবেন যেসব রাজাকার, মীর জাফর আছে তারা ক্ষমতায় আসবে। যারা মা বোনের ইজ্জত লুটেছে, লক্ষ্য লক্ষ্য প্রাণ নিয়েছে তারা সংসদে যাবে আবার। যেভাবে বিএনপি তৈরি হলো হ্যা বা না ভোটের মাধ্যমে। তারাই প্রেসিডেন্ট হলেন, সংসদ বানালেন, রাজাকারদের পবিত্র সংসদে ঢোকানো হলো। আমরা ২১ বছর বোকার মত চেয়ে রইলাম! একুশ বছর আমাদের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানতে পারে নাই। আমাদের এই টাইমের যে বাচ্চারা আছেন, তারা জিয়াউর রহমানের নাম করেন। দেখেন, আমি সৌভাগ্যবান। আমাকে জাতীয় পার্টিতে যেতে হয়েছে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও। আওয়ামী লীগ আমার বাড়িতেই জন্ম। তবে আমাকে বিএনপি’র মানুষ ভালবাসে। গতকাল একটা মিটিং হয়েছে সমরক্ষেত্রে, আমি বিএনপি’র নেতাদের আহ্বান করেছি আমার সাথে আসতে। আমরা একসাথে মিলে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন করি। আল্লাহ’র রহমতে বিএনপি’র লোকজন সেখানে এসেছে, আমি তাদের বক্তব্য দিতে দেইনি। আমি বলেছি, তোমরা দলের সম্মান ঠিক রাখো। তোমরা আমার জন্য এসেছ সেটা আলাদা জিনিস। তোমাদের এলাকায় আমরা ডিস্টার্ব করবো না, তোমরা আমাদের এলাকায় ডিস্টার্ব করবে না। নাহলে কিন্তু এবার ছাড় নেই। এই মুক্তিযোদ্ধার থাবা বাঘের চেয়েও ভয়ানক। আমার গত ১৫ বছর আমাদের বাচ্চারা শিখতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কেন করতে হয়েছে। আগের পড়া আর এখনকার পড়ার অনেক ডিফারেন্স। একদিন দেখবেন এই যে শিক্ষিত সমাজ বের হচ্ছে, তখন আমাদের চেয়ে এরা অনেক অবদান রাখবে। অশান্তির সৃষ্টি কেউ করবেন না। আওয়ামী লীগের মধ্যে এখনো মোস্তাক আছে, আমাদের বাংলাদেশে এখনো মীর জাফর আছে। এদের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। নাহলে আমি আপনি, আমাদের পরিবারের লোকেরা ভাল থাকতে পারবে না। এত তারিখে অবরোধ, এত তারিখে হরতাল! তোদের লজ্জা করে না, কে মানে তোদের অবরোধ। তোরা তো কথাই বলতে পারিস না, কথা বলা শিখে আয় জাতির পিতার কাছে। তোরা সংসদে আসিস কেন?
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পাট আড়ৎদার সমিতির সভাপতি ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলুর সভাপতিত্বে ও এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু হাসনাত মোঃশহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার সাহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল কাদির সহ প্রমুখ।