অফিস এলাকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরুন্নবী প্রধান। তিলের খাজা বিক্রি করে সংসার চালানো নুরুন্নবী ও তার স্ত্রী লতা আক্তার দুজনেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাদের এক বছর বয়সী ছেলে আলিফ পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে ফেলেছে, চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক তাদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে যারা আসেন, তারা একটা আশার আলো খুঁজে আসেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে এবং যা পারি, তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দিতে। সরকারি নিয়মে হয়তো সবাইকে একসঙ্গে সাহায্য করা সম্ভব হয় না, কিন্তু আমি কাউকেই ফিরিয়ে দিই না।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি আমি প্রতিদিন চেষ্টা করি এমন কিছু করতে, যা মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। এই কাজগুলো আমার কাছে দায়িত্বের পাশাপাশি আনন্দও।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সকালে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজিত ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিলম্বিত কেসসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় জুমে অংশ নেন। পরে জাতীয় সড়ক দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে তিনি নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির ৫ম সভায় যোগ দেন। এরপর তিনি মানবিক আবেদন নিয়ে আসা এনামুল হক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরুন্নবীর কথা শুনে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। বিকেলে জেলা প্রশাসক ফতুল্লা পাইলট হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
দিনের শেষে তিনি পূজা উদযাপন কমিটি ও কালেক্টরেট মসজিদ কমিটির সঙ্গে মসজিদের সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ নিয়ে আলোচনা করেন।