বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা জামালউদ্দিন কালুকে দেখতে তার বাসভবনে গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, শিল্পপতি ও সাবেক যুবদল নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে নগরীর দেওভোগে জামালউদ্দিন কালুর বাসভবনে গিয়ে এই বর্ষীয়ান নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার সুস্থতা কামনা করেন মাসুদুজ্জামান। এ সময় তিনি প্রবীণ এই নেতার পাশে কিছু সময় কাটান এবং তার চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “কালু সাহেব শুধু একজন বর্ষীয়ান নেতাই নন, তিনি নারায়ণগঞ্জের একজন মুরুব্বি এবং জেলা ও মহানগর বিএনপির অভিভাবক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব নিজে তাকে দেওভোগ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব দিয়ে রাজনীতিতে এনেছিলেন। নারায়ণগঞ্জে তার অসংখ্য অনুসারী রয়েছে।”
সম্প্রতি পিতৃহারা মাসুদুজ্জামান আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “কিছুদিন আগেই আমি আমার বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছি। আজ ওনার (কালু) কাছে এসে আমি যেন নিজের পিতার ছায়া খুঁজে পেলাম। তাকে দেখে আমার বাবাকে দেখার মতোই অনুভূতি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং আশা করি, তিনি সুস্থ হয়ে আবারও রাজপথে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি আমার জন্য দোয়া করেছেন এবং আন্তরিকভাবে চেয়েছেন যেন আমি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকি। অতীতে তিনি বহু নেতা তৈরি করেছেন, আমরাও তার দেখানো পথেই চলেছি। আমরা চাই, তার মতো গুণী মানুষের হাত ধরে ভবিষ্যতেও নতুন নেতৃত্ব উঠে আসুক।”
এ সময় জামালউদ্দিন কালুর সহধর্মিণী ও বিএনপি নেত্রী রাশিদা জামাল, পুত্র ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র সদস্য রাফিউদ্দিন রিয়াদ, মেয়ের জামাতা ও শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রোমেলসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদের ভাই শামীম আহমেদ, সমাজসেবক মনির হোসেন সরদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা সরকার আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সাবেক যুবদল নেতা সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, মহানগর যুবদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।