শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কালীর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। যানজট বৃদ্ধির আশঙ্কায় তারা সেতুর বর্তমান নকশা পরিবর্তনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ‘কালীর বাজার বৃহত্তর ব্যবসায়ী বৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ’ এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বৃহত্তর কালীর বাজার এলাকার শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
কালীর বাজারের ব্যবসায়ী হাজী মোঃ নাজির খানের সভাপতিত্বে এবং মোঃ রবিন হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, ব্যবসায়ী তপু চৌধুরী, ব্যবসায়ী মোঃ সুমন চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, কদম রসুল সেতুর পশ্চিম পাড়ের মুখটি নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে নামবে। এই সংবাদ আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের ও আতঙ্কের। কারণ, কালীর বাজার ও এর সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকাটি শহরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক।”
তারা আরও উল্লেখ করেন, এই সড়কের পাশেই রয়েছে শহরের ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ। এছাড়া শহরের দুটি প্রধান বাজার—কালীর বাজার ও দিগু বাবুর বাজারের প্রবেশমুখও এখানে। এটি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এমনিতেই এখানে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, “স্বাভাবিক সময়েই এখানে ব্যবসা পরিচালনা ও চলাচল করতে আমাদের প্রচুর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর ওপর যদি কদম রসুল সেতুর ওঠানামার মুখ এখানে তৈরি হয়, তাহলে এ দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে এবং পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়বে।”
এসব কারণ উল্লেখ করে বক্তারা কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি বর্তমান স্থান থেকে পরিবর্তন করে শহরের যানজটমুক্ত বা সুবিধাজনক অন্য কোনো স্থানে স্থাপনের দাবি জানান।
বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা মনে করি, আমাদের এই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুর নকশা পরিবর্তন করবেন।”