নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দশম শ্রেণির চার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান (৪৫) পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। রোববার (২৩ জুন) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার জিম্মায় থাকা তিন ভুক্তভোগী ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মিজান ঢাকায় বসবাস করলেও পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিল্পকলা ও কম্পিউটার বিষয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন। এই সুযোগে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। স্কুল ছুটির দিন, বিশেষ করে শুক্রবারে, তিনি নানা প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের কৌশলে ঢাকায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যেতেন এবং সেখানে তাদের ধর্ষণ করতেন।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসের ৬, ১১ ও ২৩ তারিখে দশম শ্রেণির চার ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে ঢাকায় নিয়ে যান অভিযুক্ত মিজান। সর্বশেষ গত ২৩ জুন এক ছাত্রীকে ঢাকায় নেওয়ার পর সে ২৪ জুন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায় এবং তার আরও তিন বান্ধবী ঢাকায় ওই শিক্ষকের বাসায় আটক রয়েছে বলে পুলিশকে জানায়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর রোববার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার জিম্মায় থাকা বাকি তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মৃত আবু তালেব শিকদারের ছেলে। ওসি শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, “মিজান একজন বিকৃত রুচির মানুষ। তার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় আগে থেকেই পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।” এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি নতুন ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।