বন্দর উপজেলাধীন কদম রসূল উইলসন রোড পূর্বপাড়া এলাকায় প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা কদম রসুল ইউনিয়নের সহ সভাপতি মরহুম আনছার আলীর পরিবারের উপর জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে সন্তাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেশ কয়েক বছর যাবত বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার উইলসন রোডের বাসিন্দা প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আনছার আলীর একখন্ড জমির উপর একই এলাকার কিছু ছিছকে সন্ত্রাসীদের চোখ পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ই জুন প্রয়াত আনছার আলীর ছেলে মোক্তারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় বন্দর উইলসন রোডের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাকির (৪৫),জাকিরের ছেলে জাহিদ(১৮),আব্দুল মালেকের ছেলে আবির হোসেন সনেট (৩০) ও মৃদুল (১৮),কামাল উদ্দিনের ছেলে হাছান (১৮),মৃত নুরুল হকের ছেলে রানা (৩৫)সহ আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল।
এ ব্যাপারে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বর আহত রুবি হাওলাদার তানিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,রুবি হাওলাদার তানিয়ার স্বামী মোক্তার হোসেন ঘটনার দিন দুপুর আনুমানিক ২.০০ টায় বাড়ির পাশে রাস্তায় একা হাটাহাটি করছিলেন্ এ সময় মোক্তারকে জাকির নামের সন্ত্রাসী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করেন। মোক্তারের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী তানিয়া এগিয়ে আসলে তাকে সন্ত্রাসী গ্রুপ এলোপাতারি মারধর করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম ও শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাস্থল থেকে আমার মামা নূর হোসেন ও খালা খোরশেদা বেগম আমাকে ও আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও মারধর করেন। এক পর্যায়ে আমার ভাই রাজিব খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাকে ও আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসী জাকিরসহ অন্যান্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মারামারি ও প্রাননাশের ঘটনায় তানিয়ার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তানিয়া ও তার পরিবার প্রচলিত আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।